Description
মাছ গোশতের পরিবর্তে কুকিং পনির
যেভাবেই হোক, প্রতিদিন ৪০-৫০ গ্রাম পনির খান ৷ বাচ্চা থেকে বুড়ো – সবারই আসলে খাওয়া উচিত এই পনির ৷ অনেকেই লবণের জন্য অস্টগ্রামের পনির খেতে পারেন না ৷ তাই বলে পনির খাওয়া তো বন্ধ থাকতে পারে না ৷
এছাড়াও যারা মাছ / গোশত খান না তাদের প্রোটিনের চাহিদা মিটাতে আমাদের আয়োজন কুকিং পনির ৷ এ পনির রান্না করে খেতে পারেন একদম মাছ গোশতের মতোই – সবজি দিয়ে, এমনিই ভুনা করে বা সালাদের সাথে ৷ এটি লবণ ছাড়া হয় এবং রান্না করলে গলে না ৷ কুকিং পনির ডিপে রেখে ৬ মাস সংরক্ষণ করা যায় ৷
কটেজ/কুকিং চিজ দিয়ে পালং পনিরের রেসিপিঃ
উপকরণঃ
পালং শাক ৩০০ গ্রাম (পালং শাকের ডান্ডি ফেলে দিয়ে শুধু শাক নিতে হবে), ২০০ গ্রাম কটেজ/কুকিং পনির (পনির কেটে নিতে হবে মাঝারি মাপ করে), গোটা জিরা ১/২ চামচ, তেল ১ টেবিল চামচ, ১টা টমেটো বাটা, ১টা পেঁয়াজ বাটা, লবণ পরিমাণ মত, কাজুবাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, গরমমশলা গুঁড়ো ১/২ চামচ, ৩টি কাঁচা মরিচ বাটা (ঝাল বুঝে দেবেন), আদা-রসুন বাটা ১ চামচ, জিরা গুঁড়ো ১/২ চামচ, ধনে গুঁড়ো ১/২ চামচ, হলুদ গুঁড়ো ১ চামচের চার ভাগের এক ভাগ), কাশ্মীরি লাল মরিচ গুঁড়ো ১/২ চামচ, টক দই ১/২ কাপ আর লেবুর রস ১/২ চামচ।
প্রণালিঃ
প্রথমে পালং শাক সেদ্ধ করার জন্য, একটি পাত্রে পানি নিয়ে গরম করবেন। গরম হলে সাবধানে ভালভাবে ধুয়ে রাখা পালং শাক দিতে হবে যেন তা পানিতে ডুবে যায়। এরপর ঢেকে দিয়ে ২ মিনিট সিদ্ধ করবেন। ২ মিনিট পর গ্যাস বন্ধ করে ঢাকনা খুলে দিতে হবে। এরপর একটি পাত্রে ঠান্ডা পানি দিয়ে তাতে সেদ্ধ পালং শাক তুলে রাখবেন। তাতে পালং শাক ঠাণ্ডা করে নিতে হবে। পালং শাক ঠাণ্ডা হলে ভালোভাবে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। এবার কড়াইতে তেল গরম করে তাতে গোটা জিরা ভেজে নিতে হবে। এরপর পেঁয়াজ আর টমেটো বাটা দিতে হবে। এটি খুব ভালভাবে ভাজতে হবে।
এসময় বাকি সব উপকরণ এক সাথে মেশানোর জন্য একটি পাত্রে টক দই নিতে হবে। এরপর এক এক করে ওর মধ্যে দিতে হবে কাশ্মীরি লাল মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, গরমমশলা গুঁড়ো, ধনে-জিরে গুঁড়ো, মরিচ বাটা, আদা-রুসুন বাটা, কাজুবাদাম বাটা আর পরিমাণ মত লবণ।
এবার সব উপকরণ ভালভাবে মিশাতে হবে। পেঁয়াজ ও টমেটো বাটা ভালকরে ভাজা হলে ওর মধ্যে দিতে হবে সব মশলার মিশ্রণ। এরপর সব উপকরণ ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে। রান্নার স্বাদ পুরটাই আসে কিন্তু এই মশলা কষানোর ওপর। মশলা ভাল করে কষানো হলে তাতে দিতে হবে পালং শাকের পেস্ট। পাত্রে পালং পাকের পেস্ট লেগে থাকলে একটু পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে আর দিয়ে দিতে হবে কড়াইতে। তবে বেশি পানি দেয়ার দরকার নেই।
এবার এটা ঢেকে দিয়ে ৫ মিনিট চুলায় রাখবেন। এরপর ঢাকনা খুলে দিতে হবে পনির এর টুকরো, চাইলে পনির সামান্য ভেজে নিয়েও দিতে পারেন। এবার সব উপকরণ ভালোভাবে মিশাতে হবে। আবার এটা ঢেকে দিয়ে ১০ মিনিট রাখবেন। ১০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দিবেন। এরপর গ্যাস বন্ধ করে দিবেন।
নামানোর আগে লেবুর রস দিতে হবে। মিশিয়ে নিলেই তৈরি পালং পনির ।
নিয়মিত পনির খাওয়ার উপকারিতাঃ
☞ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়ে ওঠে
☞ ওজন হ্রাসে সাহায্য করে
☞ স্ট্রোকের আশঙ্কা কমে
☞ হাড় শক্তপোক্ত করে
☞ প্রোটিনের ঘাটতি দূর হয়
☞ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে
☞ হজম শক্তি বাড়ায়
☞ ব্রেস্ট ক্যান্সারকে দূরে রাখে
☞ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
☞ ব্রেন ফাংশনের উন্নতি ঘটায়।
আমরা কাজ করছি গরুর খাঁটি দুধ থেকে তৈরী হোমমেড আনসলটেড কটেজ/কুকিং পনির ৷ রান্না করলে গলবে না, চাইলে কাচাও খেতে পারবেন ৷