Description
অথেনটিক মাখন কিভাবে চিনবেন এবং কেন খাবেন
একবার ভেবে দেখুন তো, কতটা ক্ষতি করছেন নিজের ও সন্তানের? “হোমমেড বাটার” লেখা সস্তা জিনিসের চটকদার বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়ে আপনার বাচ্চাকে কি আসল মাখন খাওয়াচ্ছেন?
যারা ঘোল খেয়েছেন আসল মাখন তাদের চিনতে কষ্ট হয় না ৷ ঘোলের ওপর ভাসতে থাকা অংশই মাখন, তাই ঘোলের স্বাদের মত হয় ৷
দুধের তৈরী মাখন ও আমদানি করা ক্রিম দেখতে প্রায় একইরকম হওয়ায় বেশিরভাগ মানুষ তা চিনতে পারেন না, ফলে আমদানিকৃত ক্রিমকে মাখন ভেবে ভুল করেন যা প্রিজারভেটিভ, রঙ এবং ফ্লেভারের সংমিশ্রন ছাড়া আর কিছুই নয় ৷ এটি নিয়মিত খেলে হার্টের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে ৷
দুধের তৈরি মাখনের বৈশিষ্ট্য:
☞ দুধের তৈরী একদম পিওর মাখন যতবার ইচ্ছা পানি দিয়ে ধোয়া যায় (ঠান্ডা পানি হতে হবে), কিন্তু মার্জারিনে এক ফোঁটা পানি লাগলে তাতে ফাঙ্গাস পড়ে যাবে ৷
☞ দুধের তৈরি মাখন চুলায় জাল দিলে তা কিছুক্ষণ পর ঘি হয়ে যাবে ৷
☞ দুধের তৈরি মাখন খেতে সামান্য টক মনে হবে ৷ তার মানে এই না যে তেতুল বা লেবুর মত টক ৷ দুধ থেকে তৈরী ঘোলে যেমন সামান্য টক ভাব থাকে, তেমন ৷
☞ দুধের তৈরি মাখনে কোনো ফ্লেভার থাকে না, কিন্তু মার্জারিনে ভ্যানিলা এসেন্সের ঘ্রাণ পাওয়া যায় ৷
☞ এই মাখন ফ্রিজের বাইরে ২ দিনের বেশি থাকলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে ৷ শীতের দিনে ৩/৪ দিন বা ৫ দিনও ফ্রিজের বাইরে রাখা যায় ৷ কিন্তু মার্জারিন সারা বছর বাইরে রাখলেও নষ্ট হয় না ৷
☞ অথেনটিক মাখনে বাড়তি কোনো তৈলাক্ত ভাব বা তেলের ফোঁটা থাকবে না, যেটা মার্জারিনে থাকে ৷ বরং এতে জলীয় আভা থাকবে ৷
প্রকৃতপক্ষে দুধের তৈরী অথেনটিক মাখন যখন আপনি খাবেন, তখন এর স্বাদ ও ঘ্রাণই আপনাকে বলে দিবে যে এটি অথেনটিক ৷
মাখন কেন খাবেন? চলুন জেনে নিই, আর বেরিয়ে আসি প্রচলিত কিছু ভুল ধারণা থেকে
☞ মাখনে থাকা Activetor-X নামক উপাদান শরীরকে খনিজ উপাদান শোষনে সাহায্য করে।
☞ মাখনে আয়োডিন, সেলেনিয়াম, লেসেথিন এবং লরিক এসিডের মত খনিজ দ্রব্য বিদ্যমান, যা অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহনে বিরত রাখে।
☞ এতে আছে ভিটামিন-এ, ডি এবং ভিটামিন-ই, যা ক্যালসিয়াম শোষনে শরীরকে সাহায্য করে।
☞ মাখন শিশুদের মস্তিষ্ক বিকাশে ও স্নায়ুতন্ত্রের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
☞ মাখনে ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ সমৃদ্ধ। এতে বিদ্যমান এরাকিডোনিক্স এসিড মস্তিষ্কের কার্যক্রম, ত্বকের সুরক্ষা এবং প্রোস্টাগ্লান্ডিনে ভারসাম্য রক্ষা করে।
☞ মাখনে রয়েছে ভিটামিন-কে২, যা প্রোস্টেট ক্যান্সার, হাড়ভাঙা, করোনারি হার্ট ডিজিসের ঝুঁকি হ্রাস করে ও চর্বি দ্রবণে সহায়তা করে।
☞ মাখনের লিনোলিক এসিড এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট বিপাকীয় কাজে সাহায্য করে এবং ফ্রি র্যাডিকেল দূর করে।
☞ এতে রয়েছে আরথ্রাইটিস প্রতিরোধকারী “উলজেন” ফ্যাক্টর, যা মাখন ছাড়া শুধু দুধ বা ক্রিমে পাওয়া যায়।
☞ মাখনে বিদ্যমান উচ্চ মাত্রার বিটা-ক্যারোটিন চোখে সুরক্ষা দান করে। ছানি, মেকুলার ডিজেনারেশনের গতি কমায়।
সুস্থ থাকুন সচেতন থাকুন 
